বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ০৬:১৬ পূর্বাহ্ন
এস এম সাঈদুর রহমান সোহেল, খুলনা থেকে:: খুলনায় মিথ্যা প্রলোভনে পাচারকালে অতিদরিদ্র শ্রমজীবী নারী ও শিশুসহ ৫৯ জনকে উদ্ধার করেছে র্যাব-৬ এর সদস্যরা।
বুধবার রাতে নগরীর খানজাহান আলী (রূপসা সেতু) সেতু এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। এ সময় দুই পাচারকারীকে গ্রেফতার হয়েছে।
র্যাব-৬ এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) তারিক আনাম বান্না বৃহস্পতিবার বিকেলে জানান, খুলনার পাইকগাছা উপজেলার দরিদ্র ও অসহায় খেঁটে খাওয়া সাধারণ মানুষের অসহায়ত্ব ও দারিদ্রতাকে পুঁজি করে একদল অতিলোভী ও দুষ্কৃতিকারী দেশের বিভিন্ন স্থানে মহাজনের নিকট শ্রমিকদের অমতে ব্যক্তিগত লাভের আশায় বিক্রি করে দেয়। বুধবার রাতে একটি মানবপাচারচক্র পাইকগাছা থেকে নারী ও শিশুসহ ৫৯ জন দরিদ্র অসহায় মানুষকে নড়াইল জেলার একটি ইটেরভাটায় কাজ দেওয়ার কথা বলে কৌশলে একটি বাসে তোলে। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী শ্রমিকদের জিম্মি করে বাসটি নড়াইলে না গিয়ে খুলনা মহানগরীর খানজাহান আলী সেতু (রূপসা সেতু) অতিক্রম করার পর শ্রমিকরা বুঝতে পারে তাদের ফাঁকি দিয়ে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এক পর্যায়ে তারা জানতে পারে তাদেরকে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে নিয়ে অন্য মহাজনের নিকট বিক্রি করে দেওয়া হবে। এ অবস্থায় অচেনা ইটেরভাটা ও নিষ্ঠুর ও নির্মম অত্যাচারের কথা ভেবে তারা ভয় পেয়ে যায়। এ সময় তারা সেখানে যেতে অপারগতা প্রকাশ করে।
একপর্যায়ে তারা বাসের মধ্য থেকে চিৎকার শুরু করে। স্থানীয় লোকজন বাসের ভেতরে চিৎকার ও বিশৃঙ্খল দেখে র্যাব-৬ কে খবর দেয়। এ সময় র্যাবের একটি আভিযানিক দল দ্রুত গাড়িটিকে অনুসরণ করে বাসটিকে থামায়। পরে বাস থেকে মানব পাচার চক্রের মূলহোতা পাইকগাছা উপজেলার গড়ইখালী গ্রামের মৃত বাবর আলী গাজীর ছেলে মো. লিটন গাজী (৫৪) ও তার সহযোগী একই গ্রামের লিটন গাজীর ছেলে সোহাগ গাজীকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় ১৯ জন নারী ও ১৮ জন শিশুসহ ৫৯ জনকে উদ্ধার করা হয়।
তিনি জানান, গ্রেফতার দুজনকে পাইকগাছা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।